হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠকগন হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায় বিষয়ে লিখতে বসলাম। আজকে আরো আলোচনা করা হবে হাঁটু ব্যথার কারণ। হাঁটুর ইন্জুরি তাড়াতাড়ি ভালো করার উপায়। হাটু ব্যথা দূর করার ব্যায়াম। হাটু ব্যথা দূর করার খাবার। হাঁটু ব্যথা অত্যন্ত কষ্টকর ও স্পর্শকাতর রোগ।
হাটু শরীরের সমস্ত ভার বহন করে। যাহার কারণে হাঁটু ব্যথায় চলাফেরা অত্যন্ত কষ্ট কর হয়। হাঁটু ব্যথা নিরাময় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
হাঁটুর জয়েন্ট চারটি হাড় সহযোগে গঠিত। হাড় গুলো হল ফিমার, টিবিও, ফিবুলা, এবং পেটিলা। হাঁটুর সাধারণত পুরো শরীরের ওজন বহন করে। যার কারণে শরীরের ওজন যদি অত্যাধিক হয় তাহলে হাঁটুর পক্ষে ভার বহন করা কষ্ট করা হয়। যার কারণে হাঁটু ব্যথা হয়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করার কারণে হাটুর হাড় ক্ষয় হয়।
আর ও পড়ুনঃ আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়
যার কারণে হাঁটু ব্যথা হয়। এছাড়াও খেলাধুলা অথবা অ্যাক্সিডেন্টের কারণে হাঁটুতে আঘাত পাওয়ায় হাঁটু ব্যথা হয়। হাঁটু ব্যথা দূর করতে কিছু ব্যায়াম ও ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। আজকের বিষয় হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়।
হাটু ব্যাথার কারণ
হাঁটু ব্যথাজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। অপুষ্টিকর খাবার অথবা অতিরিক্ত ওজনের জন্য হাটু ব্যথা অত্যাধিক পরিমাণ হয়। আজকের আর্টিকেলের বিষয়ে হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়। হাঁটু ব্যথার কারণ গুলো আলোচনা করা হলো।
বয়সজনিত ক্ষয়ঃ সাধারণত বয়স বাড়ার কারণে হাড়ের ক্ষয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে লোকদের হাড়ের ক্ষয়ের পরিমাণ বেশি।। এছাড়াও পুরুষের চাইতে মহিলাদের এই সমস্যা অনেক বেশি। বিশেষ করে যেগুলো মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাদের এই আরথ্রাইটিস সমস্যা অনেক বেশি।
দৈহিক ওজন বৃদ্ধির কারণেঃ হাঁটু হচ্ছে মানবদেহের ভার বহনকারী সন্ধি। এই জন্য দৈহিক ওজন অনেক বেশি হলে হাঁটুর হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়। হাঁটুতে অনেক বেশি চাপ লাগে। যার কারণে হাঁটু ব্যথা বেড়ে যায়।
মাংসপেশী দুর্বলতাঃ মাংসপেশী দুর্বল হয়ে গেলে হাঁটুর সন্ধিকে নির্দিষ্ট স্থানে ধরে রাখতে পারে না। যার কারণে হাঁটুর সন্ধিতে ঘর্ষণের পরিমাণ বেড়ে যায় যার কারণে ক্ষয় বেশি হয়।
অস্থিসন্ধির তরল পদার্থ কমে গেলেঃ দেহের জয়েন্টের ভিতরে এক ধরনের তরল পদার্থ থাকে। যার কারণে জয়েন্ট গুলো নড়াচড়া করতে পারে। এই তরল পদার্থ কমে গেলে জয়েন্টে ক্ষয় বেশি হয়। যার কারণে হাঁটু ব্যথা বেড়ে যায়।
পেশাজনিত কারণেঃ যাহারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন। অথবা অনেক ভার বহন করতে হয়। এছাড়াও সিড়িতে উঠানামা করার সময় হাঁটুর সন্ধিতে ঘর্ষণের ফলে ক্ষয় হয়। যার কারনে হাঁটু ব্যথা হয়।
আঘাতজনিত কারণঃ সাধারণত হাঁটুতে আঘাত লাগলে হাঁটু ব্যথা হয়। বিশেষ করে খেলাধুলার সময় অথবা কোন দুর্ঘটনায় হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়ার কারণে হাঁটু ব্যাথা হয়।
ইনফেকশনের কারণেঃ হাঁটুর চারদিকে লাল হয়ে গেলে, চুলকানির সমস্যা হলে, হাঁটুর ত্বকের সমস্যা হলে অনেক সময় হাঁটুর ব্যথা হয়। এছাড়াও বংশগত কারণ অথবা জন্মগত অস্বাভাবিক কারণে হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। যেভাবেই হাঁটুর ব্যথা হোক না কেন খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়
হাঁটু ব্যথা হওয়ার কারণে চলাফেরায় অনেক কষ্ট হয়। শরীরের সমস্ত ওজন বহন করার জন্য হাঁটু ব্যবহার হয়। যার কারণে হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায় জানা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই ঘরোয়া উপায় গুলো।
বরফ ব্যবহারঃ হাঁটুর ব্যথার আক্রান্ত স্থানে বরফ ব্যবহারের ফলে অনেক উপশম হয়। একটি তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে কিছু বরব খণ্ড বেঁধে হাঁটুর ব্যাথার স্থানে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ভালো করে ঘষুণ। ৩-৪ বার এভাবে ব্যবহার করলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারঃ এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ এপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করে দিনে তিন থেকে চারবার খেয়ে নিন। দুই চামচ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে দুই চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করে হাঁটুর ব্যাথার স্থানে মেসেজ করুন।
কিছু পরিমাণ পানির মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করে সেখানে হাঁটু ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে ব্যবহার করলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে।
মরিচের গুঁড়া ব্যবহারঃ এক কাপ হালকা গরম অলিভ অয়েল এর সঙ্গে দুই চামচ মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত করে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে হাঁটুর ব্যথার স্থানে মেসেজ করুন। আর্থারাইটিস সমস্যায় যাহারা ভোগেন তাদের হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই তিনবার ব্যবহার করলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে।
আদা ব্যবহারঃ আদা অনেক উপকারী খাদ্য যাহাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। কিছু পরিমাণ আদা পেস্ট করে পানির মধ্যে দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে।
অতঃপর আদা মিশ্রিত পানি ছেঁকে নিয়ে সামান্য মধু ও লেবুর রস দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণ দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে হবে।তাহলে আশা করা যায় হাঁটু ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।
হলুদ ব্যবহারঃ এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো হলুদ মিশ্রিত করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর মধু মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ ও আদা মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এভাবে খেলে হাঁটুর ব্যথা নিরাময় হবে।
দুধ বাদাম খাওয়াঃ দুই কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বাদাম, কিছু আখরোট গুড়া, ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশ্রিত করে ফোটাতে হবে। দুধ যখন অর্ধেক হয়ে যাবে ঠান্ডা করে খেতে হবে। এভাবে দুই মাস ব্যবহার করলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।
ইপসম লবণ ব্যবহারঃ ম্যাগনেসিয়াম ও সালফেট উপাদান মিশ্রিত করে ইপসম লবণ তৈরি করা হয়। এই দুইটি উপাদান ব্যথা নাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গোসলের পানিতে বড় এক চামচ ইপসম লবণ মিশ্রিত করে হাঁটুর ব্যাথার অংশ ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এভাবে পাঁচ থেকে ছয় দিন করলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।
এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহারঃ জয়েন্টে ব্যাথার জন্য এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার করা হয়। আদা ও কমলা থেকে তৈরি এসেন্সিয়াল ওয়েল হাঁটুর ব্যাথা কমাতে ভূমিকা রাখে। এসেনশিয়াল ওয়েল নিয়ে হাঁটুর ব্যথার জায়গা ভালো করে মালিশ করতে হবে। এভাবে কয়েক দিন করলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।
গরম পানি ব্যবহারঃ গরম পানিতে হাঁটুর ব্যথার স্থান ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবে দিনের দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে হাঁটু ব্যথা আস্তে আস্তে নিরাময় হয়ে যাবে।
মেথি ব্যবহারঃ হাঁটু ব্যথা নিরাময়ে মেথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেথিতে এন্টি ইনফ্লামেটরি গুন রয়েছে। এই ক্ষেত্রে মেথি পাউডার করে নিতে হবে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মিথি পাউডার মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। এভাবে দিনের দুইবার খেতে হবে। কয়েকদিন খেলে হাটু ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।
তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ের তুলসী পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক গ্লাস গরম পানিতে কিছু পরিমাণ তুলসীর রস মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। এভাবে কয়েক দিন খেলে হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে।
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা দূর করা সম্ভব। তবে হাঁটু ব্যথা ব্যাপারে অত্যাধিক যত্নশীল হতে হবে। হাঁটু ব্যথার পরিমাণ অত্যাধিক বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানো প্রয়োজন।
হাটুর ইনজুরি তাড়াতাড়ি ভালো করার উপায়
সাধারণত খেলার সময় অথবা কোথাও আঘাত লাগার কারণে হাঁটুতে ইনজুরি হতে পারে। অতিরিক্ত দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হাটুতে ইনজুরি হতে পারে। হাটুতে ইনজুরি হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনজুরি তাড়াতাড়ি ভালো করার উপায়।
আর ও পড়ুনঃ কাদাকনাথ মুরগি কোথায় পাওয়া যায়
*হাটুতে ইনজুরি হলে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
*একটি তোয়ালে অথবা কাপড় দিয়ে কয়েকখণ্ড বরফ বেঁধে ইনজুরির স্থানে বারবার মেসেজ করতে হবে। ব্যথা ও ফোলা কমে যাবে। এভাবে প্রতি ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করতে হবে। দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারের ফলে ইনজুরির স্থানে ফোলা ও ব্যথা কমে যাবে।
*হাঁটুর নিচে বালিশ রেখে হার্ট বরাবর হাঁটু রাখতে হবে তাহলে হাঁটু ফোলা কমে যাবে।
*ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।
*ইনজুরির পরিমাণ বেশি হলে অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পাঠানো প্রয়োজন।
হাটু ব্যাথা দুর করার ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা দূর করা সম্ভব। ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় যার কারণে হাঁটুর ব্যথা দূর হয়। হাটু ব্যাথা দুর করার ব্যায়াম আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ বাচ্চাদের মধু খাওয়ানোর ১৫টি উপকারীতা
প্রথম ব্যায়ামঃ মেঝেতে পা সোজা করে বসুন। এরপরে একটি তোয়ালের রোল করে হাঁটুর নিচে রাখুন। তোয়ালেতে আস্তে আস্তে হাঁটু দিয়ে চাপ দিতে হবে। এ অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ১০ সেকেন্ড রাখতে হবে। এরপর হাঁটু শিথিল করতে হবে।এভাবে অন্য পা দিয়ে তোয়ালেতে চাপ দিন এবং ১০ সেকেন্ড রাখুন। এভাবে ১০ বার করে দিনে দুইবার করুন।
দ্বিতীয় ব্যায়ামঃ একটি চেয়ারে পা ঝুলিয়ে দিয়ে সোজা হয়ে বসুন। পা যেন মেঝে থেকে একটু উপরে ঝুলে থাকে। এবার এক পা ধীরে ধীরে উপরে তুলতে হবে যাতে মেঝের সমান্তরালে থাকে। এভাবে ১০ সেকেন্ডে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এভাবে অপর পা ধীরে ধীরে উপরে তুলে মেঝের সমান্তরলে রেখে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে নামিয়ে ফেলুন।
এভাবে ১০ বার করুন এবং দিনে ২ বার করুন। এভাবে ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হবে। যার কারণে হাঁটুর পিকমেন্টের ক্ষয় কমে যাবে এবং হাঁটু ব্যথা নিরাময় হবে। আজকের বিষয় হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়।
হাটু ব্যাথা দুর করার খাবার
হাঁটু ব্যথা দূর করার জন্য এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবারের মাধ্যমে হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়। হাঁটু ব্যথা দূর করার খাবার গুলো আলোচনা করা হলো।
আদা খাওয়াঃ নিয়মিত আদা খেলে হাঁটুর ব্যথা উপশম হয়। আদায়- পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হাঁটু ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। হাঁটু ব্যথা দূর করার জন্য এক গ্লাস পানিতে কিছু পরিমাণ আদা মিশ্রিত করে ফুটিয়ে খেতে পারেন।
রসুন খাওয়াঃ রসুন রান্নার সাধবৃদ্ধি ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতায় ব্যবহৃত হয়। রশুনে এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। হাঁটু ব্যাথা হলে প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। এছাড়াও গরম ভাতে এক কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। রসুন খাওয়ার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা দূর হয়।
হলুদ খাওয়াঃ হলুদের কারকিউমিন নামক উপাদান রয়েছে যাহা প্রদাহ নাশক হিসেবে কাজ করে। রান্নাতে অথবা দুধের সাথে হলুদ মিশ্রিত করে খেলে হাঁটু ব্যথা উপশম হয়।
বাদাম খাওয়াঃ কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, ও চিনা বাদাম, খাওয়া শরীরের পক্ষে অনেক ভালো। বাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত ওমেগা৩। নিয়মিত বাদাম অথবা আখরোটের সঙ্গে বাদাম খেলে হাঁটুর ব্যথা ভালো হয়। এছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে বাদাম খেতে পারেন।
বেরি জাতীয় ফলঃ ফল খাওয়ার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে রয়েছে ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি। নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খাওয়ার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা নিয়ন্ত্রণ থাকে।
অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল এ প্রচুর অমেগা৩ রয়েছে। অলিভ অয়েলে ওলিয়োক্যানথাল নামক উপাদান রয়েছে যা হাঁটু ব্যথা দূর করতে ব্যবহার হয়। নিয়মিত এক চামচ করে অলিভ অয়েল খেতে পারেন অথবা সালাদে অলিভ অয়েল তেল দিয়ে খেলে হাঁটু ব্যথা দূর হয়।
সরিষার তেলঃ সরিষার তেল খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে ব্যথার স্থানের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে ব্যথা দূর করে। এক্ষেত্রে সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল অথবা নারিকেলের তেল মিশ্রিত করে ব্যাথার স্থানে মালিশ করলে ব্যথা উপশম হয়। এছাড়াও পিঁয়াজ ও রসুনের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে হাঁটুর ব্যথা উপশম হবে।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবারঃ হাঁটু ব্যথা দূর করতে লাল মরিচ, লেবু, কমলা, মালটা, ইত্যাদি খুব ভালো কাজ করে। ভিটামিন সি জাতীয় ফল অথবা খাবার খেলে শরীরের প্রদাহ কমায়। এজন্য সরাসরি ব্যথার ওষুধ না খেয়ে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা দূর করা যায়।
মাছ খাওয়াঃ মাছ খাওয়ার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা দূর হয়। তবে এই ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ পেলে বেশি ভালো হয়। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অনেক বেশি পরিমাণ থাকে। এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ডি এর মত উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি হাঁটু ব্যথা প্রতিরোধ করে।
গাজর খাওয়াঃ নিয়মিত গাজর খাওয়ার ফলে গাজরের ভিটামিন এ থাকার জন্য প্রদাহ নাশক হিসাবে কাজ করে। চাইনিজরা গাজরকে ব্যথা প্রতিকারক হিসেবে ব্যবহার করে। গাজর কাচা অথবা রান্না করে খেতে পারেন। নিয়মিত দুটি করে কাঁচা গাজর খেলে হাঁটু ব্যথা উপশম হয়।
প্রিয় পাঠকগণ আসুন এগুলো খাবার খেয়ে শরীরের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করি পাশাপাশি হাঁটু ব্যথা উপশম করার চেষ্টা করি। আজকের বিষয় হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়।
লেখকের মন্তব্য
হাটু ব্যাথা দুর করার ১০টি ঘরোয়া উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। হাঁটু ব্যাথা একটি গুরুতর রোগ। যে রোগের কারণে চলাফেরা অত্যন্ত কষ্টকর হয়। হাঁটু ব্যথার কারণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নামাজ পড়া কষ্টকর হয়। এছাড়াও হাঁটু ব্যাথার কারণে ওঠাবসা অথবা প্রস্রাব পায়খানাতে কষ্ট হয়।
যার কারণে হাঁটু ব্যথার কারণ গুলো জেনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গুলোর তথ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url