পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন

প্রিয় পাঠকগণ পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু হল। বিদ্যুৎ আমাদের ব্যবহারিক জীবনে অনেক প্রয়োজন। বাসা বাড়িতে লাইট ফ্যান ফ্রিজ মটর ইত্যাদি ব্যবহার করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়াও মোবাইল ল্যাপটপ ও ওয়াইফাই কানেকশনের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন।
যার কারণে নতুন বাসা তৈরি করা শুরু করলেই বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। নতুন বৈদ্যুতিক মিটারের আবেদনের বিষয় জানার জন্য আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন। নতুন বাসা বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য অনেকের কাছে ঘোরাঘুরি করতে হয়। তবে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন ব্যাপারে জানা থাকলে ঘোরাঘুরি করতে হতো না। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে খুব সহজেই বিদ্যুতের মিটার পাওয়া যায়।
যার কারণে নির্দিষ্ট কাগজপত্র আপলোড করে অনলাইনে আবেদন করে আমরা সহজেই মিটার পেতে পারি। এছাড়াও মিটার পরিবর্তনের নিয়ম জানার জন্য আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন আবেদনের জন্য বিভিন্ন প্রকার কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আজকের আর্টিকেল পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন। নতুন বাসা বাড়ি তৈরি করলে নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করে মিটারের আবেদন করতে হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন এর ফি নির্ভর করে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার আওতায় কোথায় আবেদন করেছেন তার উপর। পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদনের বর্ণনা করা হলো।

নতুন মিটারের আবেদনঃ

*একক ফেজ ৫০০ টাকা।
*তিন ফেজ ১০০০ টাকা।

পল্লী বিদ্যুৎ মিতার পরিবর্তনের জন্য আবেদন ফিঃ

*একক ফেজ ৩০০ টাকা।
*তিন ফেজ ৫০০ টাকা।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিটারের নতুন আবেদনঃ

*একক ফেস ৫০০ টাকা।
*তিন ফেজ ১০০০ টাকা।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন ফিঃ

*একক ফেজ ৩০০ টাকা
*তিন ফেজ 500 টাকা

গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ড মিটার আবেদনের ফিঃ

*একক ফেস ৬০০ টাকা।
*তিন ফেজ ১২০০ টাকা।

গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ড মিটার পরিবর্তনে জন্য আবেদন ফি

*একক ফেজ ৪০০ টাকা।
*তিন ফেজ ৮০০ টাকা।

আবেদন ফ্রি ছাড়াও নতুন মিটারের আবেদনের জন্য অতিরিক্ত কিছু খরচ প্রয়োজন হয়।

*নিরাপত্তা আমানত ৫০০ টাকা লাইন নির্মাণ খরচ লাইনের দৈর্ঘ্য এবং ধরনের উপর নির্ভর করে এটা আলোচনা সাপেক্ষে।
*মিটার স্থাপন খরচ।
*অন্যান্য খরচ সম্পর্কে জানতে নিগ্রস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে যোগাযোগ করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন কিভাবে করতে হয়। পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন জানা না থাকলে এই আর্টিকেল থেকে এগুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। নতুন বাসা বাড়ি তৈরির সময় বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। যার কারণে বৈদ্যুতিক মিটার প্রয়োজন হয়।
বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। তবে নিয়ম জানা থাকলে খুব সহজেই পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করা সম্ভব। বৈদ্যুতিক মিটারের আবেদন করার সময় কিছু ডকুমেন্ট ও কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এছাড়া গ্রামে বাড়ি হলে মিটারের আবেদন করার ধরন এক রকম।

শহরে বাড়ি হলে মিটারের আবেদন করার ধরন অন্যরকম। আমাদের বাড়ির জন্য মিটারের আবেদন করতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবর অনলাইনে আবেদন করতে হবে। মিটারের আবেদন করতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু শর্ত আছে সেগুলো পালন করতে হবে। অনলাইনে মিটারের আবেদন করতে যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে তার বিবরণ দেওয়া হল।

*আবেদন করার সময় আবেদনকারীর ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র সংযুক্ত করতে হবে।
*আবেদনকারীর মালিকের জমির খারিজ, দলিল অথবা খতিয়ানের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
*সংযোগস্থল হতে খম্বার দূরত্ব ১৩০ ফিট এর মধ্যে হতে হবে।
*অন্য কোন মিটারের অথবা পার্শ্ববর্তী লোকজনের মিটারের বিদ্যুৎ বিলের পুরাতন কাগজ সংযুক্ত করতে হবে।
*মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এইচডি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে।

সকল ডকুমেন্ট থাকলে আপনি পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটে যে আপনাকে আবেদন করতে হবে। পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটে গেলে সেখানে একটি ফর্ম দেওয়া হবে এই ফর্ম পূরণ করার পরে সাবমিট করলেই আবেদন হয়ে যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগের নিয়ম

বিদ্যুৎ আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রত্যহ আমাদের দৈনিক কাজকর্মের সঙ্গে বিদ্যুতের নিবিড় সম্পর্ক। বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকলে যেন এক অসহায় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আজকের আর্টিকেল পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন। নতুন বিদ্যুতের সংযোগের নিয়মাবলী আলোচনা করা হলো।
*আবেদন।
*সমীক্ষা ফি।
*সমীক্ষা।
*বৈদ্যুতিক প্ল্যান।
*ট্রাকিং ও অনুমোদন।
*নির্মাণ মূল্য।
*চুক্তি করন।
*লাইন নির্মাণ।
*আভ্যন্তরীন ওয়্যারিং করণ।
*ওয়্যারিং পরিদর্শন।
*জামানত গ্রহণ।
*সিএমও করন।
*গ্রাহক সংযোগ।

নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে আবেদন পত্রের সঙ্গে নিম্নং লিখিত দলিল দাখিল করতে হবে।

*সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি সত্যায়িত রঙিন ছবি।
*জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
*জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি।
*ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা কর্তৃক বাড়ির অনুমোদনের সত্যায়িত নকশা অথবা নামজারিসহ হোল্ডিং নম্বর এর সত্যায়িত কপি। ভূমিহীন হলে পৌর মেয়র অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সত্যায়িত প্রত্যয়ন পত্র।
*লোড চাহিদার পরিমাণ
*জমি বা বাসা ভাড়া হলে ভাড়ার দলিল।
*ভাড়া বাসার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতিপত্র।
*পূর্বের সংযোগ থাকলে উক্ত সংযোগের সর্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি।
*ট্রেড লাইসেন্স প্রযোজ্যক্ষেত্রে
*সংযোগ স্থানের নকশা।
*শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।

৪৫ কেভিয়ে এর ঊর্ধ্বে সংযোগের জন্য গ্রাহককে আরো যে দলিল দাখিল করতে হবে।

*পৌরসভা অথবা সংশ্লিষ্ট হাউসিং কর্তৃক অনুমোদিত বাড়ির নকশা এর সত্যায়িত ফটোকপি।
*মিটারিং কক্ষ প্রদানের অঙ্গিকারনামা।
*উপকেন্দ্রে স্থাপিত সব যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন ও টেস্ট রেজাল্ট এবং বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর থেকে প্রদত্ত উপকেন্দ্র সংক্রান্ত ছাড়পত্র।

নতুন সংযোগের জন্য জামানতের পরিমাণ

নিম্নোক্ত হারে সমীক্ষা ফি-সহ সদস্য সেবা বিভাগে সংযোগের জন্য আবেদন করা যাবে।

*একফেজ (২ তার ) ২৫০ ভোল্ট আবাসিক বা বাণিজ্যিক ও সি আই লোডের ০.৫ কিঃ ওঃ পর্যন্ত ৫০০ টাকা ০.৫ কিঃ ওঃ এর উপরে ১ কিঃ ওঃ পর্যন্ত ৬০০ টাকা। ১ কিঃ ওঃ এর উপরে প্রতি কিঃ ওঃ এর জন্য অতিরিক্ত ফি ২০০ টাকা করে দিতে হবে। তবে বাণিজ্যিক এর ক্ষেত্রে ৫ কিঃ ওঃ এর বেশী হলে প্রতি কিঃ ওঃ এর জন্য ফি ২৩৬০ হারে দিতে হবে।

*একফেজ বা তিন ফেজ ক্ষ্রদ্র শিল্প বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি কিঃ ওঃ লোডের জন্য ১৮৫২ টাকা দিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অফেরতযোগ্য জামানত প্রদান এবং লীজ জমিতে সংযোগের জন্য অতিরিক্ত জামানত দিতে হবে।

*সেচের ক্ষেত্রে অগভীর নলকুপ ও এল এল সি এর জন্য অশ্বশক্তি প্রতি ৬২৫ টাকা দিতে হবে এবং গভীর নলকূপের জন্য অশ্বশক্তি প্রতি ১০০০ টাকা দিতে হবে।

*সেচ ব্যতীত অন্যান্য সংযোগের জন্য ২ কিঃ ওঃ এর অধিক লোডের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করা বাধ্যতা মুলক।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

অনেক সময় বাসা বাড়ির মিটার নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও মিটারের রিডিং হওয়ার সময় কর্মীল হয়। অনেক সময় মিটারের রিডিং অনেক বেশি আসে। এই ক্ষেত্রে মিটার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়। মিটার পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুৎ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদনের নিয়ম দেওয়া হল।

বরাবর 

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ

পল্লী বিদ্যুতের ঠিকানা এখানে লিখুন


বিষয়ঃ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

মিটার নংঃ ……..

কনজিউমার নংঃ ……..

জনাব,

অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে আমাদের বাড়িতে ব্যবহিত মিটার প্রায় ২ মাস সময় ধরে সঠিক মিটার রিডিং পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণ আইডিয়া করে মিটার রিডিং গ্রহণ করছেন। যেটা মোটেই কাম্য নয়। এছাড়া মিটারের সাথে আরো অনেক সমস্যা আছে যার কারণে আমার মনে হয় এই মিটারটি পরিবর্তন করা দরকার।

অতএব, মহোদয়ের কাছে আমার বিনিত নিবেদন মিটার পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করে যত সম্ভব আমার মিটারটি তাড়াতাড়ী পরিবর্তন করে নতুন একটি মিটার দিলে আমার জন্য খুব ভালো হতো। তাই আশাকরি আমার আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করে আপনারা তাড়াতাড়ী আমাকে একটি নতুন মিটার দানে একান্ত মর্জি হয়।


                                                                                                                                বিনীত নিবেদ  

                                                                                                                          আপনার নাম লিখুন

  তারিখঃ                                                                                                                  মোবাইল নাম্বার            



অনলাইনে মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

আপনারা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে “পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন” করতে পারবেন। এজন্য পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.rebpbs.com ভিজিট করুন।উপরের মেন্যু অপশনে নতুর মিটার বা পুরাতন মিটার পরিবর্তন করা নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। 

উক্ত অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে মিটার পরিবর্তন নামক একটি পেজে নিয়ে যাবে। এবার আপনাকে মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। যেখানে আপনার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, মিটার নাম্বার, কনজিউমার নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।

তাছাড়া আপনার মিটারে কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে তার বর্ণানা দিয়ে নিচের সাবমিট অপশনে ক্লিক করলে আপনার আবেদনটি সাবমিট হয়ে যাবে এবং আপনার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস চলে আসবে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হইছে। ছাড়া আরও লেখা হইছে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি কত। পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগের নিয়ম। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন। এগুলো বিষয় জানা থাকলে নিজেরাই মিটারের আবেদন করা যায়।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনেক সময় অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয়। পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেল ভিজিট করুন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url