ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়ার দরকার

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। দীর্ঘ ১৬ টি বছর ধরে গুম খুনের রাজত্ব চলে আসতেছিল। ৩৬ জুলাই স্বৈরাচারীর হাসিনা সরকারের পতনের পরে মনে করেছিলাম দেশে হত্যার রাজনীতি দূর হবে। বাস্তবে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি না।
সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এগুলো হত্যাযজ্ঞ ঘটনা থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। জাতি শিক্ষিত সমাজের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা শুনেছিলাম শিশুর পিতা সকল শিশুর অন্তরে। একজন সুশিক্ষিত ও নৈতিক চরিত্রবান শিক্ষার্থী দেশের জন্য সুশাসন বয়ে আনতে পারে।
সকল বাবা-মা মাথার গান পায়ে ফেলে তাদের ছেলেদেরকে উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষিত জাতি গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে আমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পিতা-মাতা ও জাতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য

আজকের আর্টিকেল ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সরাতৈল গ্রামে। কিছুদিন আগে তার মাতা ইন্তেকাল করেছেন। তার বাবার নাম মোঃ ফরহাদ আলী সরদার। তাদের পুরো পরিবার ঢাকায় বসবাস করেন।

সাম্যরা চার ভাইয়ের মধ্যে সাম্য সর্বকনিষ্ঠ। শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। শাহরিয়ার আলম সাম্যের বড় চাচা মোঃ কাউছার আলী কান্না কন্ঠে জানান রাত এগারোটার সময় আমার ভাতিজা মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি যা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।

তিনি বলেন আমার ভাতিজারা ঈদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। সাম্য অত্যন্ত ভদ্র এবং নম্র ছেলে ছিল। শাহরিয়ার আলম সাম্যের মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার বড় চাচা কাউসার আলম বলেন ঢাকায় জানাযার শেষে গ্রামের বাড়িতে জানাজা ও দাফন করা হবে।

আমরা তাদের হত্যাকান্ডে অত্যন্ত বিচলিত। দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনালে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যে শাস্তির কারণে দেশে হত্যার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে।

ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়ার দরকার

দেশে খুন, গুম ও মারামারির ফলে দেশের উন্নয়ন ব্যাঘাত ঘটে। বাবা-মা তাদের সন্তান অত্যন্ত কষ্ট করে ও আশা নিয়ে শিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান। দেশবাসী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে থাকে ভালো শিক্ষিত ছেলে বাহির হয়ে আসলে দেশের উন্নয়ন হবে। আজকের আর্টিকেল ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার।
অথচ বাবা-মা তাদের সন্তান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কষ্ট করে পাঠানোর পরেও যদি সন্তান লাশ হয়ে বাড়ি আসে সেটি অত্যন্ত কষ্টকর। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যে কাজ করা প্রয়োজন সেটা করতে হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুশিক্ষিত নাগরিক তৈরি করবে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এ বিষয়ে সরকার এবং শিক্ষা সম্পর্কিত সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ চিন্তা ও সদিচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাবেন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে হত্যাকান্ড হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করলে অনেক ভালো হয়।

যেহেতু সে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খুন হয়েছেন সেহেতু এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার দায় অনেক বেশি। এইজন্য শাহবাগ থানা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত নিরোলসভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি বাহির করবেন। হত্যাকান্ড যেই করুক না কেন তার কঠোর বিচার হতে হবে। দ্রুত ট্রাইবুনালে বিচার করে জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যেকটি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের কে ধর্মীয় ও নৈতিক জ্ঞান থাকতে হবে। ধর্মীয় ও নৈতিকতা নৈতিক জ্ঞানের মাধ্যমে তারা সুনাগরিক হওয়ার চেষ্টা করবে। দুঃখের বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিক নৈতিকতা জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত ব্যক্তি বাহির হওয়া প্রয়োজন।

যার কারণে কর্মজীবনে ঘুষ দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো সকল কাজ রাজনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। আর এগুলো অনৈতিকতা পরিবর্তন করতে হলে দেশে সুশাসন আসতে হবে। আমরা অনেকেই বলি টক আম গাছে মিষ্টি আম পাওয়া যায় না।

অনুরূপভাবে দেশ পরিচালনার ব্যক্তিগণ যদি নৈতিকতার গুণসম্পন্ন হন তাহলে তাদের দ্বারা আমরা দেশের নৈতিকতা সম্পূর্ণ শাসন পাব। এছাড়া খারাপ ব্যক্তিদের দ্বারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পড়লে সে দেশে কোনদিন শান্তি আসতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় শাসন মেনে চললে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ দেশের কোন বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে না।

এইজন্য ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সামনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে আমাদেরকে মেসেজ দেওয়া হোক দেশে এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটলে সরাসরি বিচার করা হবে। এজন্য আমরা আগামী দিনে আশা করে আছি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো নেতৃত্ব এসে দেশ শাসনের দায়িত্ব নেবে।

আমাদের বাংলার জনসাধারণ কেউ চেষ্টা করতে হবে সৎ খোদাভীরু শিক্ষিত ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। এজন্য আসুন ছাত্রদল নেতার শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক। কোন হত্যাকারী যেন এই বিচারের কারণে কোন হত্যাকান্ড ঘটতে ভয় করে।

ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনা

আজকের আর্টিকেল ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হত্যা করা হয়। শাহরিয়ার আলম সাম্য এর বন্ধু রাফি জানান ১৩ই মে রাত ১০ঃ৪৫ মিনিটের সময় চালিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে অপর মোটরসাইকেল চালক শাহরিয়ার আলম সম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সম্মুখে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেয়। শাহরিয়ার আলম সাম্য এর হত্যাই তিনজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, ও পলাশ সরদার। ১৭ই মে শনিবার উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ টানার উপ পরিদর্শক তৌফিক হাসান গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী জামিনের আবেদন করেনি। ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক শাহীন রেজা ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে আবেদনকারী তদন্ত কর্মকর্তাগণ বলেন তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে এবং তারা সরাসরি হত্যায় জড়িত ছিল। এরপরেও পুরোপুরি সততার সহিত তদন্ত করে দোষীদের কে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

অভিভাবকগণ তাদের ছেলেমেয়েদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে সুশিক্ষা অর্জনের জন্য। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে ছাত্ররা লাশ হওয়া বাবা মাদের কাছে অত্যন্ত কষ্টকর।

শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সঙ্গে ঢা বি ভিসির সম্পর্ক

আজকের আর্টিকেল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলমসাহ হত্যার বিচার হওয়া দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়। বলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করলে সে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এছাড়াও দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০০ বিঘা জমি দান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অর্থ হলো বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারবে। দীর্ঘ ১৬ টি বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি দলের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনের অভয়ারন্য হিসাবে পরিগণিত ছিল।

ছাত্র-জনতা নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে ফ্যাসিস্ট খুনি সরকারকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমরা আশা করেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল দলের সহযোগিতায় নতুন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। অথচ ৩৬ জুলাই এর পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবার পূর্ববর্তী ছাত্র সংগঠনের মত পরিবেশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কোন ছাত্র সংগঠন চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শাম্যকে হত্যা করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অংশ ছিল না। যার কারণে সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গাফিলতি লক্ষ্য করা যায় না।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ছাত্র হত্যার বিচারের জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে। অথচ আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র হত্যা হয়েছে তার সঠিক বিচার না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের অপসারন চাওয়া হচ্ছে। মূল ঘটনা আড়াল করে অন্য কিছু চাওয়ার জন্য আন্দোলন করা হলে হত্যার ঘটনা চাপা পড়ে যাবে।

হত্যার সুষ্ঠু বিচার করা কষ্টকর হবে। যার কারণে আমাদেরকে হত্যার পরিপূর্ণ বিচার করার জন্য সবাইকে মাঠে থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যা করা হয়নি অতএব এ হত্যার জন্য সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর উপর দায় পড়ে না।

আমাদের সকল ছাত্রদেরকে একত্রিত হয়ে সরকারের কাছে হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আন্দোলন করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানে ছাত্র হত্যার সুষ্ঠু বিচার হলে দেশে হত্যা গুম ও চাঁদাবাজি কমে যাবে। এজন্য আমরা সকল ছাত্রসংগঠন মিলে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি।

সকল দলের মধ্যে এবং ছাত্র সংগঠনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করে সকল ছাত্রদেরকে মননশীল রাজনীতি শিক্ষার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তাই আসুন শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর না চাপিয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রী মিলে সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচারের আবেদন করি।

আমরা দেশে সুশাসন চাই

আজকের আর্টিকেল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার। আমরা দেশে সুশাসন চাই। দেশ স্বাধীনতার পর থেকে সকল শাসকের কাছ থেকে আমরা শুধু বঞ্চনা পেয়েছি। আমরা দেখেছি অন্যান্য দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পরে খুব তাড়াতাড়ি দেশের অর্থনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়েছে।

যার কারনে তাদের দেশের সকল জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করার পরে দীর্ঘ ৫৪ টি বছর ধরে আমরা শাসকের শোষণের গেরাকলে আক্রান্ত। শুধু তাই নয় দিনের পর দিন পার্শ্ববর্তী দেশের জুলুম ও তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি।

৩৬ জুলাই আন্দোলনের পরে আমরা চাই নতুন করে আমাদের দেশ পার্শ্ববর্তী কোন দেশের তাবেদার রাষ্ট্র না হোক। শুধু তাই নয় আমরা এমন শাসন ব্যবস্থা চাই যে শাসনব্যবস্থার ফলে দেশে সুদ ঘুষ চাঁদাবাজি জুলুম নির্যাতন থাকবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। সকল নাগরিক তাদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাবে। দেশের নতুন করে হত্যার রাজনীতি আর চালু হবে না।

আমাদের দেশের সম্পদ আমরা নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারি। ৩৬ শে জুলাই এর পরেও বর্তমান আমরা জুলুমবাজ চাঁদাবাজ এবং কিছু ভারতের তাবেদার এর খপ্পরে পড়ে আছি। এইজন্য সরকার কর্তৃপক্ষদের কাছে সবিনয় আবেদন করি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আপনারা সর্বদা চেষ্টা করুন।

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশিক্ষা অর্জনের জন্য সকল ছাত্রদের মাঝে সোহার্দ্য ভাব ফিরে আসবে। ছাত্ররা সর্বদা জ্ঞান অন্বেষণে ব্যস্ত থাকবে। একাডেমিক জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে সকল ছাত্র-ছাত্রীগণ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন।

ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীগণ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে পারবেন। তাই আসুন আমরা সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি। আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url