উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায়
প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ওজন কতটা জরুরী তা আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে আস্তে আস্তে আমাদের অনেকেরই ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অরুচি ও শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে সঠিক মত খাবার না খাওয়ার কারণে অনেকের ওজন কমে যাচ্ছে।
হয়তো ওজন বৃদ্ধির নিয়ম ব্যাপারে আপনাদের জানার ইচ্ছা রয়েছে। এইজন্য আজকের আর্টিকেল লেখা হচ্ছে উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায়। এগুলো বিষয় ভালোভাবে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের নিয়মতান্ত্রিক ওজন থাকা প্রয়োজন। যার কারণে আজকের আর্টিকেল উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায়। বিশেষ করে যাদের ওজন অনেক কম এবং রোগ ও অপুষ্টিতে ভোগেন তাদের ওজন বাড়ানো প্রয়োজন। অপরপক্ষে অনেকেরই ওজন অনেক বেশি হয়ে গেছে।
আর ও পড়ুনঃঘর ধুলো বালি মুক্ত রাখার উপায়
যার কারণে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট এর মাধ্যমে আস্তে আস্তে ওজন কমিয়ে আনা প্রয়োজন। সুস্থ থাকার জন্য ওজন বৃদ্ধি হওয়া যেমন ক্ষতিকর তেমনি ওজন কমে যাওয়া অনেক ক্ষতিকর। যার কারণে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানতে চান উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন কেমন হওয়া প্রয়োজন। আসুন আমরা এই আর্টিকেল থেকে উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী কি পরিমান ওজন হওয়া লাগবে তা জেনে নিন। আজকের আর্টিকেল উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায়। শারীরিক ওজন আমাদের ঠিক রাখা প্রয়োজন।
সঠিক ওজন থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে এবং সেই সঙ্গে শরীর সুস্থ থাকে। ওজন বেশি হয়ে গেলে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অনুরূপভাবে ওজন কমে গেলে রোগনা ও পাতলা লাগে। সেই সঙ্গে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
বয়স অনুযায়ী কি পরিমান ওজন থাকতে হবে তা আলোচনা করা হলো। আমেরিকার সিডিসির মতামত অনুযায়ী ডক্টর আগরওয়াল জানান কোন বয়সে কেমন ওজন হতে হবে।
*১৯ বছর থেকে ২৯ বছর বয়সি একজন পুরুষের ওজন হবে ৮৩.৪ কেজি এবং একজন মহিলার ওজন হবে ৭৩.৪ কেজি।
*৩০ থেকে ৩৯ বয়সী একজন পুরুষ লোকের ওজন হবে ৯০.৩ কেজি এবং একজন মহিলা লোকের ওজন হবে ৭৬.৭ কেজি।
*৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সের একজন পুরুষ লোকের ওজন হবে ৯০.৯ কেজি এবং একজন মহিলা লোকের ওজন হবে ৭৬.২ কেজি।
*৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ লোকের ওজন হবে ৯১.৩ কেজি এবং একজন মহিলা লোকের ওজন হবে ৭৭.০ কেজি।
এছাড়াও উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের তারতম্য হয়। উচ্চতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওজন রয়েছে যা জানা প্রয়োজন। নিয়মের অতিরিক্ত ওজন থাকলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। নিয়মের চাইতে ওজন কম হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন বর্ণনা করা হলো।
*৪ ফিট ৭ ইঞ্চি পুরুষ লোকের ওজন ৩৯ থেকে ৪৯ কেজি এবং মহিলার ওজন ৩৬ থেকে ৪৬ কেজি।
*৪ ফিট ৮ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪১ থেকে ৫০ কেজি এবং মহিলার ওজন ৩৮ থেকে ৪৮ কেজি।
*৪ ফিট ৯ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪২ থেকে ৫২ কেজি এবং মহিলার ওজন ৩৯ কেজি থেকে ৫০ কেজি।
*৪ ফিট ১০ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪৪ থেকে ৫৪ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪১ থেকে ৫২ কেজি।
*৪ ফিট ১১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪৫ থেকে ৫৬ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪২ থেকে ৫৩ কেজি।
*৫ ফিট পুরুষের ওজন ৪৭ থেকে ৫৮ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪৩ থেকে ৫৫ কেজি।
*৫ ফিট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪৮ থেকে ৬০ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪৫ থেকে ৫৭ কেজি।
*৫ ফিট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫০ থেকে ৬২ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪০ থেকে ৫৯ কেজি।
*৫ ফিট ৩ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫১ থেকে ৬৪ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪৮ থেকে ৬১ কেজি।
*৫ ফিট ৪ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৩ থেকে ৬৬ কেজি এবং মহিলার ওজন ৪৯ থেকে ৬৩ কেজি।
*৫ ফিট ৫ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৫ থেকে ৬৮ কেজি এবং মহিলার ওজন ৫১ থেকে ৬৫ কেজি।
*৫ ফিট ৬ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৬ কেজি থেকে ৭০ কেজি এবং মহিলার ওজন ৫৩ থেকে ৬৭ কেজি।
*৫ ফিট ৭ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৮ থেকে ৭২ কেজি এবং মহিলার ওজন ৫৪ থেকে ৭৯ কেজি।
*৫ ফিট ৮ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬০ থেকে ৭৪ কেজি এবং মহিলার ওজন ৫৬ থেকে ৭১ কেজি।
*৫ ফিট ৯ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬২ থেকে ৭৬ কেজি এবং মহিলার ওজন ৫৭ থেকে ৭১ কেজি।
*৫ ফিট ১০ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৪ থেকে ৭৯ কেজি এবং মহিলার ওজন ৫৯ কেজি থেকে ৭৫ কেজি।
*৫ ফিট ১১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৫ থেকে ৮০ কেজি এবং মহিলার ওজন ৬১ থেকে ৭৭ কেজি।
*৬ ফিট পুরুষের ওজন ৬৭ থেকে ৮৩ কেজি এবং মহিলার ওজন ৬৩ থেকে ৮০ কেজি।
*৬ ফিট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৯ কেজি থেকে ৮৬ কেজি এবং মহিলার ওজন ৬৫ থেকে ৮২ কেজি।
*৬ ফিট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭১ থেকে ৮৮ কেজি এবং মহিলা ওজন ৬৭ থেকে ৮৪ কেজি।
আমাদের উচ্চতা অনুযায়ী এই মোতাবেক ওজন দেখে ওজন বেশি হলে কমানোর চেষ্টা করতে হবে। ওপর পক্ষে ওজন কম হলে ওজন বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করে রাখা প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে হলে নিয়ম তান্ত্রিক ওজন থাকতে হবে।
উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায়
উচ্চতা অনুযায়ী আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকলে বাড়তি স্বাস্থ্য সমস্যার পরিমাণ কম হয়। এছাড়াও শারীরিক সকল কাজ স্বাচ্ছন্দে করা যায়। প্রকৃত পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণের উপরে অথবা কম হলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যায়। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায় আলোচনা করা হলোঃ
আর ও পড়ুনঃপল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন
ভোরে ঘুম থেকে জাগাঃ ভোরে ঘুম থেকে জেগে ইবাদত করার পরে ভোরের বাতাসে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এ সময় বাতাসের বিশুদ্ধতার পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া যায়। সকালে হাটাহাটির মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি হয় এবং সেই সঙ্গে খুধার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ভালো খাবার খাওয়া যায়। নিয়মিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে দেহের ওজন বৃদ্ধি হয়।
অতিরিক্ত ক্যালরির খাবার গ্রহণঃ শরিরে যে পরিমাণ ক্যালরি প্রয়োজন হয় তার চাইতে ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালরি বেশি খাবার খাওয়া। বেশি পরিমাণ ক্যালরি গ্ৰহন করার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়।
সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সকালের নাস্তার সঙ্গে দুধ মাখন বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য দুধ ও মাখন অত্যন্ত উপকারী।
প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়াঃ খাবারের সঙ্গে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণ রাখা। প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে ডাল, ডিম, মাছ, চিকেন, লাল মাংস, মাটন, ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া যায়।
শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াঃ শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত বেশি পরিমাণ শর্করা খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। শর্করা খাবার বেশি খাবারের মাধ্যমে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়।
কিসমিস খাওয়াঃ রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি হয়। ওজন বৃদ্ধির জন্য তিন থেকে চার মাস নিয়মিত কিসমিস খাওয়া প্রয়োজন।
নিয়মিত কলা খাওয়াঃ নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করাসহ পটাশিয়াম রয়েছে। নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে সারাদিনের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। দিনে তিন থেকে চারটি কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়।
নিয়মিত আলু খাওয়াঃ নিয়মিত আলু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। এক্ষেত্রে গোল আলু অথবা মিষ্টি আলু খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। আলু কার্বোহাইড্রেট এর ভালো উৎস। আলু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়।
ডেইরি জাতীয় খাবার খানঃ ডেইরি জাতীয় খাবার যেমন দুধ, দই, ঘি, মাখন, ছানা, ও ছানা জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। এগুলো খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও বৃদ্ধি হয়।
প্রতিদিন দুধ খেজুর খাওয়াঃ প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস দুধে ৫ থেকে ৬ টি খেজুর দিয়ে ফুটিয়ে কুসুম অবস্থায় খেতে হবে। এভাবে দুধ খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়।
নিয়মিত ঘুমঃ নিয়মিত ঘুমের ফলে ওজন বৃদ্ধি হয়। নিয়মিত ঘুমের ফলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি হয়। এছাড়া মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি হয়। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।
ওজন কেন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
সুপ্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো জানতে চান অতিরিক্ত অথবা কম ওজনের জন্য শারীরিক কি সমস্যা হয়। আজকের আর্টিকেল থেকে এগুলো বিস্তারিত জানুন। আজকের আর্টিকেল উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০ টি উপায়। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি হয়।
ওজন বৃদ্ধি আমাদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি পরিমাণ বেড়ে গেছে। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ৪৯ বছরে বিশ্বব্যাপী স্থূলতার হার প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে। যার কারণে ওজন যাতে বৃদ্ধি না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বেশী ওজনের যেগুলো সমস্যা হয় তা আলোচনা করা হলো।
*হার্ট অ্যাটাক বা হার্টফেইলরের মত সমস্যা হয়।
*বিভিন্ন ধরনের হৃদ রোগের সমস্যা হয়।
*উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা হয়।
*বিভিন্ন রকম ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়।
*ব্রেইন স্টোক জাতীয় সমস্যা হয়।
*বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
*পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
*সহবাসের সমস্যা বা সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যায়।
*হাঁপানি বা অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা বৃদ্ধি হয়।
*উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা হয়।
*আর্থারাইটিস বা হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
*বিভিন্ন রকম দৈনন্দিন কাজকর্মে অনেক কষ্ট হয়।
*চর্ম রোগের পরিমাণগুলো বেড়ে যায়।
এইজন্য আমাদেরকে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনার প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে। ওর পক্ষে ওজন কম হওয়ার কারণে অনেক রকম সমস্যা তৈরি হয়। ওজন কম হওয়ার সমস্যা গুলো আলোচনা করা হলো।
*ওজন কম হওয়ার কারণে পুষ্টিহীনতার বৃদ্ধি পায়।
*রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
*ওজন কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
*শরীরের হাড় ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়। এছাড়াও অস্টিওপোরোসিস সমস্যা হয়।
*মেয়েদের মাসিক সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে গর্ভধারণ সমস্যা হতে পারে।
এজন্য শারীরিক যেগুলো ত্রুটি আছে সেগুলো দূর করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং সেই সাথে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যাবে।
৩০ বছর বয়সে ওজন কত হওয়া উচিত
আপনাদের যাদের বয়স ৩০ বছর তারা হয়তো জানতে চান যে ওজন কত রাখা যাবে। এই আর্টিকেল থেকে এগুলো পুরোপুরি জানতে পারবেন। নির্দিষ্ট বয়সে নির্দিষ্ট ওজন থাকা প্রয়োজন। ওজনের বেশি অথবা কম থাকলে শারীরিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিবে।
৩০ বছরের বয়সে একজন পুরুষের ওজন হবে ৮০ থেকে ৮৫ কেজির মধ্যে। একজন মহিলার ওজন থাকবে ৭২ কেজি থেকে ৭৫ কেজির মধ্যে। ৩০ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের এর চাইতে বেশি ওজন হয় তাহলে খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমানোর প্রয়োজন।
এছাড়া ৩০ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলার উক্ত বয়সের চাইতে কম ওজন হলে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা প্রয়োজন। নিয়মতান্ত্রিক ওজন থাকলে শরীর এর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকবে না।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বৃন্দ উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায় বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এছাড়াও আরো লেখা হয়েছে উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত। ওজন কেন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ৩০ বছর বয়সে ওজন কত হওয়া উচিত।এগুলো বিষয় আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
এগুলো আমাদের সবার জানা উচিত। এগুলো বিষয় জানলে আমাদের ওজন উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। আজকের বিষয় সম্পর্কে আপনাদের নতুন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানাবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url