গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার

প্রিয় পাঠকবৃন্দ গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। আরো লেখা হবে ছেলে ও মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যায়াম। ছেলে ও মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়। সাত দিনের লম্বা হওয়ার উপায়। এগুলো বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেহের উচ্চতা কম হলে ডিফেন্স সহ বিভিন্ন চাকরিতে সুযোগ হয় না।
দেখতে অনেক খারাপ লাগে। এ জন্য উচ্চতা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। এগুলো বিষয়ে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেল গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার। দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি থাকা প্রয়োজন। সাধারণত বংশগত কারণে দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি অথবা কম হয়। পিতা মাতার লম্বা হলে ছেলেমেয়েরা লম্বা হয়। অপর পক্ষে পিতা মাতারা খাটো হলে ছেলে মেয়ে খাটো হয়। তবে এর ব্যতিক্রম অনেকটাই হয়।
দেহ লম্বা হওয়ার জন্য গ্রোথ হরমোন দায়ী। গ্রোথ হরমোন বেশি নিঃসৃত হলে বেশি লম্বা হয় এবং কম নিঃসৃত হলে খাটো হয়। প্রাকৃতিকভাবে কিছু নিয়ম ও খাবার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি করা যায়। নিয়ম গুলো জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ছেলে ও মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যায়াম

বয়সের তুলনায় অনেকে আছেন যাহারা খাটো। লম্বা হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা তদবির করেন। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে লম্বা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আজকের আর্টিকেল গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার। নিয়মিত সপ্তাহে তিন দিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি করা যায়। তবে ব্যায়াম এর সঙ্গে সঙ্গে সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আসুন দেখে নিয়ে উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যায়ামগুলো।

প্রথম ব্যায়ামঃ দেয়ালের সঙ্গে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়াতে হবে। নিজেকে দেওয়ালের সঙ্গে সোজা করে দাঁড় করাতে হবে। পায়ের গোড়ালি থেকে মাথা পর্যন্ত সকল অংশ যেন দেয়ালের সঙ্গে লেগে থাকে সেই চেষ্টা করতে হবে। দেওয়ালের সঙ্গে স্পর্শ করে সোজা হয়ে ষ্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন এভাবে এই ব্যায়ামটি ৮ বার থেকে ১০ বার করুন।

দ্বিতীয় ব্যায়ামঃ প্রথম ব্যায়াম করা হলে দ্বিতীয় ব্যায়ামটি রিং বা বারের সঙ্গে হাত দিয়ে ঝুলে থাকুন। রিং এর উপর শরীরের ভার ছেড়ে দিন। পা দুটি আস্তে আস্তে দুলতে দিন। এভাবে দশ মিনিট এই ব্যায়াম করুন। এভাবে আট থেকে দশ বার করতে হবে।

তৃতীয় ব্যায়ামঃ তৃতীয় বারে আবার রিং ধরুন। এইবার আর ঝুলিয়ে থাকতে হবে না। রিং এর উপর ভর করে আস্তে আস্তে উপরে উঠার চেষ্টা করুন। এ ভাবে ওপরে উঠতে পারলে নিজের ভার ছেড়ে দিন। এ অবস্থায় তিন মিনিট ঝুলে থাকুন।

এভাবে এই ব্যায়ামটি ছয় বার করুন। প্রথমে একবারেই তিন মিনিট করতে পারবেন না। যে সময় করবেন সেখান থেকে আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে তিন মিনিট পর্যন্ত করুন।

চতুর্থ ব্যায়ামঃ এই ব্যায়ামটি তৃতীয় ব্যায়াম এর চাইতে একটু কঠিন হবে। এবার রিং হাত দিয়ে ধরে ঝুলে রিংগের উপর পা দিল। পা দিয়ে বাকা করে ধরে হাত এবং শরীর ঝুলিয়ে দিন। এভাবে এক থেকে দশ পর্যন্ত গোনা শুরু করুন। গোনা শেষ হলে নেমে পড়ুন। উঠতে না পারলে কারো সাহায্য নিতে পারেন। আস্তে আস্তে চেষ্টা করুন।

পঞ্চম ব্যায়ামঃ পঞ্চম ব্যামটি হল খুব জোরে বাম দিকে লাফ দিতে হবে। তবে লাফ দেওয়ার পরে ডান পা আগে মাটিতে স্পর্শ করতে হবে। লাফ দেওয়ার সময় চেষ্টা করবেন যত দীর্ঘ লাফ দেওয়া যায়।

ষষ্ঠ ব্যায়ামঃ এ পর্যায়ে মাটির উপর পেটের ভরে শুয়ে পড়তে হবে। শরীর এবং পা সোজা ও টানটান থাকবে। হাত দুটো পিছনের দিকে টান করে রাখুন। এইবার এই অবস্থায় নিজেকে যতদূর সম্ভব বাঁকা করুন। ঘাড় ও মাথা থাকবে সামনের দিকে সোজা হয়ে। ৮ থেকে ১০ বার করুন।

এভাবে নিয়মিত সপ্তাহে তিন দিন করে ব্যায়াম করলে শরীরের উচ্চতা বাড়তে থাকবে। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীরের প্রশস্ততা কমে যেয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি হবে।

গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ১৮ বছর বয়স হলে আর উচ্চতা বৃদ্ধি হয় না। উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দায়ী গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। আমাদের উচ্চতার বৃদ্ধির জন্য এই গ্রোথ হরমোন ভূমিকা রাখে। পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে এই হরমোন নিঃসৃত হয়।

কেউ যদি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির খাবার খান এবং ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করেন তাহলে উচ্চতা বৃদ্ধি সম্ভব। গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার আলোচনা করা হলো।

সিম খাওয়াঃ সিমে প্রচুর ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে যা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ভূমিকা পালন করে। সিমে যে খনিজ উপাদান রয়েছে তা টিস্যু ও মাংসপেশী গঠনের সহায়তা করে। যার কারণে সিম খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি হয়।

মটরশুঁটিঃ মটরশুটিতে ভিটামিন প্রোটিন ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান। মটর শুটি খাওয়ার মাধ্যমে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়।

ব্রোকলিঃ ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন খনিজ উপাদান ও খাদ্য আস রয়েছে। ব্রোকলি খাওয়ার মাধ্যমে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়।

শালগমঃ শালগমে পর্যাপ্ত ভিটামিন খনিজ উপাদান ও খাদ্য আস রয়েছে। শালগম খাওয়ার মাধ্যমে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়।

গরুর দুধঃ গরুর দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে। এছাড়াও দুধে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি করার কাজে সহায়তা করে।

ফলঃ মালটা, আম, পেঁপে, কমলা, ইত্যাদি ফলে ভিটামিন খনিজ উপাদান রয়েছে। ফল খাওয়ার মাধ্যমে হাড়ের বৃদ্ধি হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধির কাজ করে।

তালের গুড় ও দুধঃ খালি পেটে তালের গুড় ও দুধ খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তালের গুড় ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে দুধের কার্যকারিতা ১০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়। এগুলো খাওয়ার ফলে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায় ও উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

কালো তিল কাজুবাদাম অশ্বগন্ধা ও দুধঃ কালো তিলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এছাড়া কাল তিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। অশ্বগন্ধায় গ্রোথ হরমোন বিদ্যমান। যার কারণে অশ্বগন্ধা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়াও অশ্বগন্ধা হাড় কে শক্তিশালী করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।

কালো তিল কাজুবাদাম অশ্বগন্ধা একসঙ্গে মিশ্রিত করে পাউডার করতে হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে এক চামচ এই পাউডার মিশ্রিত করে খেয়ে নিতে হবে। নিয়মিত এভাবে খেলে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।

সয়াবিনঃ সোয়াবিনের যে প্রোটিন আছে তা খেলে হাড় শক্তিশালী হয় এবং টিস্যুর ঘনত্ব বাড়ে। সয়াবিন খাওয়ার ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি হয়। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম পর্যন্ত সয়াবিন খাওয়া যায়।

বাদামঃ বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। যাতে অ্যামাইনো এসিড ভিটামিন মিনারেল বিদ্যমান। বাদাম খাওয়ার ফলে দেহের টিস্যুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হাড় ও মাংসপেশি শক্তিশালী করে ও বৃদ্ধি করে। এজন্য নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে উচ্চতা বৃদ্ধি হয়।

সবুজ শাকসবজিঃ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এছাড়াও শাক সবজি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। শাক সবজি খাওয়ার ফলে দেহে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায় যার কারণে উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

গাজরঃ গাজর ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। নিয়মিত গাজর খেলে হাড়ের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি পায় এবং হাড় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন তিনটি গাজর খেলে দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

ডিমঃ ডিমের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ২ রয়েছে। ডিম খেতে সুস্বাদু এবং সবাই ডিম খেতে পছন্দ করে। এছাড়াও ডিমে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে। নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে শরীরের গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি হয়।

কুমড়ো বিজঃ কুমড়ো বিজে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা হাড় ও দাঁত গঠনে ভূমিকা পালন করে। কুমড়ো বিজে উচ্চমাত্রায় অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যা গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি করে এবং উচ্চতা বৃদ্ধি করে।

পূর্ণ শস্যঃ পূর্ণ শস্য খাওয়ার ফলে দেহের টক্সিন সহ বিভিন্ন বজ্র পদার্থ বাহির হয়ে যায়। এছাড়াও পূর্ণ শস্য খাওয়ার ফলে অন্যান্য খাবারের কার্যকারিতার বৃদ্ধি করে। পূর্ণ শস্য খাওয়ার ফলে হাড়কে শক্তিশালী এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ইহাতে যে ক্যালরি রয়েছে যা বয়সন্ধিকালে উচ্চতা বৃদ্ধি করে।

ছেলে ও মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়

ছেলে মেয়েদের ১৮ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি হয়। এরপরেও ডায়েট শারীরিক ব্যায়াম ও কিছু নিয়ম পালনের ফলে উচ্চতা বৃদ্ধি একটু দ্রুত হয়। আজকের আর্টিকেল গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার। ছেলে মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধি হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম পালন করা প্রয়োজন যা আলোচনা করা হলো।
ডায়েটঃ খাবারে প্রচুর মাছ মাংস দুধ ডিম জাতীয় প্রোটিন থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি ওজন কমানোর জন্য কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার থাকা দরকার। এছাড়াও সুষম খাবার প্রয়োজন। সুষম খাবার খাওয়ার ফলে হাড় ও মাংসপেশী বৃদ্ধি হয়। শরীরের গ্রোথ হরমোন গুলো বৃদ্ধি পায়। যার কারণে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

ব্যায়ামঃ শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। বাস্কেটবল ভলিবল সাঁতার দড়ি লাফানো সাইকেল চালানো রিং ঝোলা ইত্যাদি ব্যায়ামগুলো বেশি বেশি করা দরকার।

এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য হাঁটা জগিং দৌড়ানো অথবা জিমে যেয়ে এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন। ব্যায়াম করলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সেইসঙ্গে হাড় ও মাংসপেশী বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। যার কারণে উচ্চতা বৃদ্ধি হয়।

ঘুমঃ শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের মাধ্যমে শরীরের বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শারীরিক ওজনও কমে যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মানসিক চাপ উদ্বেগ কমে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার ফলে শরীরের গ্রোথ হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

শারীরিক পরিশ্রমঃ বলা হয়ে থাকে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে বাড়তি ক্যালোরি বার্ন হয়। যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। পর্যাপ্ত পরিশ্রমের কারণে শারীরিক ভারসাম্য বজায় থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যার কারণে গ্রোথ হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

সোজা হয়ে চলাফেরা করাঃ চলাফেরার সময় সোজা হয়ে চলাফেরা করতে হবে। শরীর বা পিঠ বাঁকা করে চলাফেরা করার মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব নয়। সোজা হয়ে চলাফেরার কারণে মেরুদন্ডের বৃদ্ধিগুলো দ্রুত ত্বরান্বিত হয় যার কারণে উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরতঃ ধূমপান ও অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এগুলো পান করার মাধ্যমে শরীরের গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হয়।

৭দিনে লম্বা হওয়ার উপায়

উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য অনেকটাই বংশগতি দায়ী। পিতা-মাতা লম্বা হলে ছেলেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে লম্বা হয় এবং পিতা-মাতা খাটো হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলের মেয়েরা খাটো হয়। এরপরেও ব্যতিক্রম দেখা যায়। কিছু নিয়ম পালন করলে উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি করা সম্ভব। উচ্চতা বৃদ্ধির নিয়ম গুলো আলোচনা করা হলো।
*প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মুরগি মাংস মাছ ও দুধ খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ লিন প্রোটিন রয়েছে যা খাওয়ার মাধ্যমে পেশি ও হাড়ের গঠন বৃদ্ধি হয়।
*খাদ্য তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন তবে বেশি মিষ্টি জাতীয় নয় যেমন ভাত রুটি ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
*প্রচুর দই খাওয়া প্রয়োজন দইয়ে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।
*মিষ্টি কুমড়া, চিনা বাদাম, কুমড়া বিচি ও বিভিন্ন ধরনের শস্যতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক পাওয়া যায় যা খাওয়া প্রয়োজন।
*পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি খাওয়া প্রয়োজন যা মাছ মাশরুম থেকে পাওয়া যায় এবং শুর্যের রোদ থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
*নেশাজাতীয় সকল দ্রব্য বাদ দেওয়া প্রয়োজন কারণ নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রোথ হরমোন তৈরিতে বাধা দেয়।
*মানসিক চাপ মুক্ত থাকা প্রয়োজন। মন মেজাজ সবসময় প্রফুল্ল রাখতে হবে।
*পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন। এর মাধ্যমে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়।
*দাঁড়ানো বসা অথবা চলাফেরার সময় শারীরিক ভঙ্গি ঠিক রাখতে হবে। বাঁকা হয়ে হাটা বা বসা যাবেনা।
*হাঁটা চলাফেরার ক্ষেত্রে সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটা যাবে না সব সময় সোজা হয়ে চলতে হবে।

এগুলো নিয়ম পালন করলে শরীরের উচ্চতা কিছু বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। হাড়ও পেশি বৃদ্ধির জন্য কিছু সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে যার মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।

লেখকের মন্তব্য

গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির ১৫টি খাবার বিষয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এছাড়াও গ্রোথ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়ামের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। দেহের বৃদ্ধির জন্য কিছু নিয়ম আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো বিষয়ে গুগল সহ বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগুলো বিষয় জানতে আজকের আর্টিকেল ভালো করে পড়ুন। আশা করি অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন। আজকের আর্টিকেল ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url